আজ বৃহস্পতিবার(১৬ নভেম্বর) দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ দফতরের সামনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আরপিওতে সুষ্পষ্টভাবে বলে দেয়া আছে নির্বাচনকালীন কোন কোন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
সেখানে বলে দেয়া আছে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ কয়েকজন এবং তাদের অধস্তনদের বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। সুতরাং কমিশনের আওতায় চলে আসবে, অধীন আসবে এই কথাটি কিন্তু আইনে এভাবে বলা নেই। বলা আছে কমিশনের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে সময়ের আগে যদি বদলি বা পদোন্নতি করা হয়ে থাকে সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আইনে যে পদ মর্যাদার কথা বলা আছে, সেই পদ মর্যাদার বদলির প্রস্তাব যদি কমিশনে আসে কমিশন অনাপত্তি জ্ঞাপন করতে পারেন, আপত্তিও জ্ঞাপন করতে পারেন। অদ্যবদি এই ধরণের কোনো প্রস্তাব আমাদের কাছে আসেনি।
ব্যালট পেপার ছাপানো হবে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে। সেগুলো জেলা পর্যায়ে যাবে নির্বাচনের তিন চারদিন আগে থেকে। সে সময় এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হবে। স্থানীয় সরকারের মেয়র বা উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগ কার কাছে করবেন, সেটা আইনে বলা আছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এটা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেবেন।
নির্বাচকালীন সময় শুরু হলো : মন্ত্রী-এমপিরা আগে যেভাবে কাজ করতেন, এখন কিভাবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত হচ্ছে নির্বাচন আচরণ বিধামালায় সুস্পষ্ট বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে বলা আছে। ওখানে আইনে বলা আছে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত এই আচরণবিধি অনুযায়ী রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচনি পদপ্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা-২০০৮,সেটা তাদের অনুসরণ করতে হবে।
মন্ত্রী-এমপিদের প্রচার নিয়ে কোনো পরিপত্র জারি হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। যেহেতু এটা আইনে আছে, সেহেতু প্রয়োজন নাই। আগাম প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো আমরা আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছি, যে তারা তাদের মতো করে উদ্যোগ নেবেন।
নির্বাচনি প্রচারের ক্ষেত্রে বলা আছে, নির্বাচন যেদিন হবে তার পূর্ববর্তী ২১ দিনের আগে কখনোই প্রচার-প্রচারণা করা যাবে না। এই সময়ের মধ্যেই প্রচার চালাতে হবে। যেহেতু আমাদের ৭ জানুয়ারি ভোট হবে।
সে হিসেবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার পূর্ব থেকে প্রতীক বরাদ্দের দিন, এই সময়টা প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।
প্রটেকশন হলো নিরাপত্তা, আর প্রটোকল হলো যিনি যে পদে যাবেন, সে পদ অনুযায়ী তিনি যতটুকু সম্মান পাবেন সেটা। ১২টা গাড়ি ও একটা ট্রেন পোড়ানো হয়েছে এই অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন কতটুকু করতে পারবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কমিশন বলতে পারবেন।